কারামাতে গাউছুল আজম মুহিউচ্ছুন্নাহ আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ)
উনার নাম আব্দুল কাদের। উপনাম মুহিউচ্ছুন্নাহ। উপাধী গাউছুল আজম। জিলান হল জন্মস্থান।তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ইরানের জিলান শহরে। লেখাপড়া করেন বাগদাদে। জন্মসূত্রে জিলানী আর লেখাপড়ারসূত্রে বাগদাদী। উনার পিতার নাম সৈয়দ আবু ছালেহ মুছা জঙ্গী দোস্ত (রঃ), মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রঃ), বংশগত দিক দিয়ে তিনি হাসানী এবং হোসাইনী। তিনি অলিকূল শিরোমণি, আওলিয়ায়ে কেরামের সম্রাট। উনার গর্দান রাসুলে পাকের কদমের নিচে, আর অন্যান্য আওলিয়ায়ে কেরামের গর্দান উনার কদমের নিচে। তাই জন্মকালে দেখা যায় যে উনার কাধের উপর রাসুলে পাকের কদমের চিহ্ন রয়েছে। কারণ রাসুলে পাক (দঃ) যখন মিরাজে যাচ্ছিলেন, তখন ছিদরাতুল মুন্তাহায় গিয়ে হযরত জিব্রাইল (আঃ) বললেন- ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ! আমি এখান থেকে এক চুল পরিমাণ যদি সামনে অগ্রসর হয় তাহলে আমার ৩৬০ খানা নূরানী পাখা জ্বলে ছাই হয়ে যাবে, এখান থেকে লামকান পর্যন্ত একটি নূরানী আসনে করে আপনাকে যাইতে হবে। আর সেই নূরানী আসটি ছিল হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর রুহ মোবারক। ওটার উপর কদম রেখে রাসুলুল্লাহ (দঃ) আরোহণ করলেন, তাই উনার কদমের চিহ্ন গাউছে পাকের কাধের উপর পড়ে। তিনি যে দিন জন্ম নিয়েছিলেন সে দিন থেকে তিনি রোজা পালন করে বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিলেন যে, অলীদের জন্য শরীয়তের বিধানসমূহ পালন করা আবশ্যক। তিনি সারা জীবন মানুষকে শরীয়ত, তরীকত, মারেফাত ও হাকিকতের জ্ঞান দান করেছেন। মানুষের বিপদে-আপদে উপকার করেছেন। উনার জীবনে ঘটে যাওয়া অসংখ্য কারামাত অলৌকিক ঘটনা রয়েছে, তা আমি এই সাইটে আপনারকে জানানোর চেষ্টা করেছি। এর দ্বারা কেউ উপকৃত হলে আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে গাউছে পাকের ভক্ত এবং অনুসারী ও গোলাম হিসেবে কবুল করে। আমিন।। নিম্নে গাউছে পাকের ছবি ও বাগদাদে অবস্থিত উনার মাযারের ছবি দেওয়া হল।



No comments:
Post a Comment